Saturday, November 24, 2018

৬০ : ছবি

কয়েকদিন হলো তোমায়  খুঁজে পাচ্ছিনা !
কদিন কোথ্থাও তোমায় দেখছি না !
শুধুই মনে পড়ছে তোমায় !
শেষদিন, শেষচিঠি----- !
তোমার মনেপড়ে কি ?
 
তোমায়  একটা কথা ,আজো বলা হয়নি !
সোশ‍্যালে হারিয়ে যাওয়া ------
তোমার সেই  সাদা কালো পাসপোর্ট ছবি
এখন‌ ,"ও"  আমার কাছে
হয়তো তুমি জানতে পারোনি !?

কদিন হলো তোমার ছবিটা কোথ্থাও খুঁজে পাচ্ছিনা !
তন্ন তন্ন করে খুঁজছি তোমাকে
না না কোথ্থাও তুমি নেই !
প্রায় হতাশ হয়ে তোমার মুখটা মনে করার চেষ্টা করছি
ক‌ই ! তুমি কোথায়  !
সামনে আসো না কেন !
এভাবে পালাতে চাও কেন ?

প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছি
হয়তো আর কখন‌ও নয় !
আর আসবে না তুমি  !
হঠাৎ একদিন পার্সের ভিতর থেকে ---------
চমকে উঠেছিলাম প্রায়---
এভাবে তুমি ফিরে আসতে পারো ?

এখন ,ছবিটা অস্পষ্ট হয়েছে বটে
অবহেলায় নয় , সময়ের স্রোতে
মনের আয়নায় ছবি
যেভাবে ভেসে ওঠে !!

             ------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                             ২৩/১১/২০১৮
                    মেট্রো গীতাঞ্জলি ,কোলকাতা

Sunday, November 18, 2018

৫৯: মায়ার বাঁধন

এভাবে কি পালানো যায় ?
এভাবে কি আড়াল করা যায় ?
নিজেকে  ? মনের চাতালে------ !
মেঘ আর কুয়াশার আবডালে
বার বার আকাশে-আড়ালে !

একটা সময় পরে , 
নবদিগন্তে !
যাবে যে সে মেঘ সরে
নব নব রঙে , নব নব রূপে
ধরায় পড়িবে ধরা
মায়ার বাঁধনে ।।

          ----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                ১৯/১১/১৮

Tuesday, November 13, 2018

৫৮: জানা-অজানায়

আশ্চর্য হ‌ই !
ওতো দূর হতে ------
তুমি কিভাবে আসো ?
আর কিভাবে পারো !!
এতোটাই ভালোবাসো ?

এতদিন জানতাম শুধুই---
কাছ থেকেই  কাছে আসা যায়
ভালোবাসা যায় !
কিন্তূ এখন বুঝলাম
দূরে থেকেও কাছে আসা যায়
ভালোবাসা যায় ,
এতোটাই ভালোবাসা যায় !!

               -------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                  ১৪/১১/২০১৮

Monday, November 12, 2018

৫৭ : কেমন লোকরে বাবা !

তুমি মনে মনে বলো
কেমন লোকরে বাবা ! বড় বেশরম্ !
আসলে আমি খেলতে নেমে ---
প্রথমে বুক-পেট
তারপর গলাবুক পর্যন্ত নেমে
তোমাকে আহ্বান করি ।
দেখি তুমি কতটা নামতে পারো!?
তুমি কিনারায় দাঁড়িয়েই বলে ফেলো
এই মরেছে ! লে ঠেলা !
এই বলেই দিব‍্যি পালিয়ে যাও ,
আমিও উঠে আসি ।
তুমি চলতে চলতে ভাবো----
কি লোকরে বাবা ! বড়ো বেশরম্ !
সব কথা কেমন অকপটে বলে !!

                ----------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                      ১৩/১১/২০১৮

Sunday, November 11, 2018

৫৬ : সৃষ্টি

সেই অপলক মায়াবী দৃষ্টি
ঝরে পড়ে বুকের জমিনে
ঠিক যেভাবে হয় সৃষ্টি-বৃষ্টি
বুকের গভীরে !

যেভাবেই তুমি আসো
ভালোবেসেই  ঝরো
আমার লেখনিতে !

           ---------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                ১৩/১১/২০১৮

৫৫: তুমি আর আমি

প্রতিদিন লিখি আর ভাবি

   এই বুঝি শেষ !

     তখনি ,   ঠিক তখনি

তুমি সামনে এসে দাঁড়াও

তাকাও অকপট

একটা নতুন প্লট ।

আমিও শুরু করি ,   চটপট

হিজিবিজি ,আঁকিবুকি ,দাঁড়ি-কমা

রাতের শেষে , কবিতার দেশে

তুমি আর আমি , একটা ছবি

কবি আর কবিতায় ।

               ----------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                  ১২/১১/২০১৮

Saturday, November 10, 2018

৫৪ : মনের আয়নায়

স্পষ্ট দেখছি
অত‍্যন্ত  স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ,
এতদিন জানতাম ------
দেখার জন‍্য দুটি চোখ ই যথেষ্ট
কিন্তূ , জানতাম না ,দেখার জন‍্য
মনের মাঝেও একটা আয়না আছে ।
বয়স যতো বাড়ছে
চোখের দৃষ্টিও ততো অস্পষ্ট হচ্ছে
গ্লাসের পাওয়ার ততো বাড়ছে
অথচ ! মনের মাঝের আয়নাটা---
ততো পরিস্কার হচ্ছে ।
সেই আয়নায় তোমাকে
স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ।
হ‍্যা ,  সেই চোখ , সেই ঠোঁট
সেই চোখের পাতা ,
অবিকল সেই আগের মতো ।
সেই মায়াবি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছো
আমিও পাথরের মতো চোখ বন্ধ করে
তোমাকে দেখছি ।
কতটা সময় , কত যুগ পার হয়ে যাচ্ছে ,জানিনা !
স্বপ্নটা ভেঙে যাবার ভয়ে ,ইচ্ছে করেই
চোখ বন্ধ করে আছি ।
কিন্তূ ,তোমার সেই অপলক দৃষ্টি
আমাকেও পাথর করেছে ।
ইচ্ছেহচ্ছে একবার , শুধু একবার !
তোমাকে ছুঁয়ে দেখি ।
তোমার অতি কাছে দাঁড়িয়ে , তুমিও কি !
শুধুমাত্র মাঝখানে একটা কাচের দেওয়াল ।
ভয় হয় , কাঁচটা না ভেঙে যায় !
শত চেষ্টা করেও পারিনা !
তুমি পারো না ?
একবার , শুধু একবার !
কাচের দেওয়ালটা ভেঙে -----
একবার বেরিয়ে আসতে !?

                      এ এফ এম বাইতুল্লা
                              ১০/১১/২০১৮
               

Wednesday, November 7, 2018

৫৩ : ঋতু

বয়স তখন বড্ড কাঁচা ---------
কঠিন মরা বাঁচা ,
যখন তখন মেতে উঠতাম ------
আমরা কচিকাচা ।
সকাল -বিকাল ,দুপুর-সাঁঝে
ছুটে বেড়াতাম বন
নীল আকাশের গায়ে গায়ে------
ভাসিয়ে দিতাম মন ।

পাঠশালাতে যাবার পথে
ঢিল পড়তো গায়ে
পাড়ার ছেলের উঁকিঝুঁকি
যখন যেতেম নায়ে ।
মনটা আমার আকাশ ছিল
পায়েতে ঝরনা
সকল বারণ ওড়না করেই
পুতুল ঘরে ধর্না।

পুতুল ঘরে বর-কন‍্যে
জমতো বড়ো ভালো
ওদের আবার ঘর সাজাতে
জ্বলে ওঠতো আলো ।
একদিন এক দুষ্ট বালক
এলো পুতুল ঘরে
আদর করে দুষ্টুমিতে
খামচে আমায় ধরে ।

কোমল মনে উতল-হাওয়ায়
বুক দুর্ দুর্ করে ।

অভাবী বাবা সংসারেতে
হলেন নিরুদ্দেশ
বেশ কিছুদিন কোত্থাও তার
মিলল না সন্দেশ ।
বছর কয়েক বাদে বাবা
ফিরে আসলো গাঁয়ে
অবহেলায় মারণ ব‍্যাধি
ছড়িয়েছে তার গায়ে ।

মাতা আমার বড্ড ভালো
করেনি মুখ কালো
যত্নে-সেবায় চেষ্টা করে
করতে তারে ভালো ।
সহজে তা সারার নয়
সেতো ভীষণ কঠিন অসুখ
মায়ে আমার বিলিয়ে দিলো
নিজের যতো সুখ ।

গ্ৰাম ছেড়ে তাই শহর পথে
আলো-আধারি ঘরে
নিত‍্য নতুন মিনসে তারে
ভাসায়  , দিন- দুপুরে ,রাতে ।
অনেক রাতে মায়ের ফেরা
সারা কালি গায় !
বাবার -আমার মুখ দেখে
ক্লান্তি যেত তার ।

বাইরে-ঘরে কবর দেওয়া
কষ্টে ভরা বুক !
জোটেনি তার স্বামীর ঘরে
একটু বেশি সুখ ।

বাবার অসুখ , মায়ের‌ও অসুখ
আকাশ এখন ছোটো
বাতাস আমার বিষিয়ে গেছে
ছোট্ট খাটে আঁধার ঘরে
পায়েতে বাঁধা সুতো ।
স্বপ্ন আমার ভেঙে গেছে
ঘাটে বাঁধা তরী
কলঙ্কে তাই চাঁদ  ভাসিয়ে
নিত‍্য জোয়ার তুলি ।

মনটা আমার আর ভাসেনা
স্বপ্নপরীর দেশে
স্বপ্নগুলো কবর দিয়ে
যাই ভেসে যাই হেসে ।
উজান গাঙে ভয় পাইনা
নাইতে নেমে খেলি
রক্ত-রঙে রাঙিয়ে আনি
দুঃখী মনে হোলি ।

সুপ্ত মনে জল ছিটিয়ে
জাগাই রাতের তারা
গুপ্ত মন্ত্রে,তন্ত্রে করি
সকল মনোহরা ।
সবুজ পাখির সবুজ ডানায়
ছিটিয়ে যত র‌ঙ
বিরহে যত দুঃখী মনের
করেছি শত চয়ন ।

অফিসের বাবু আর  মজদুর-মুঠে
নিয়ে যায় লুঠেপুটে
শরীরের ভাঁজে যা কিছু আছে
সবটাই দিই ঢেলে ।
রোজ-ই ভেজে আমাদের ঘামে
যত কামাতুর বুক
তৃষ্ণার্তে রক্ত-ঘামে
ভিজিয়েই পাই সুখ ।

আঁধার রাতে চাঁদ জাগিয়ে
বৈঠা বেয়ে যাই
দুঃখীমনে দ্বীপ জ্বেলে তাই
প্রসাদে উচ্ছিষ্ট পাই ।

ভালোর মাঝেই সুনাম
আমাদের‌ও দুর্নাম
ভোমরাগুলা ভাম হয়ে
খোলে গোপন খাম ।

সকলের কাজে ছুটি  আছে বটে
আমাদের ছুটি নাই
দিন -দুপুরে খুনসুটিতে
আমাদের জুড়ি নাই ।

হাজারের মাঝে বেচিয়া দেহ
আর কাঁদেনা আমার মন
শত শ্রমিকের মত
আমার‌ও  দেহ করেছে পরিশ্রম ।
বিন্দু বিন্দু রক্ত বেচিয়া
সঁপেছি সংসারে
যতখুশি থুতু ছুঁড়ে দাও দেহে
লাগেনা আমার গায়ে ।

মাতা-পিতা মোর দেবতাসম
ওদের তরেই মরি
ছোকরা-বুড়ো শত মানুষে
করেছে আমায় চুরি ।
ঘৃণার আধারে সমাজের বুকে
রয়েছি মৃতপ্রায়
জ্ঞানে-অজ্ঞানে সঁপেছি নিজেরে
মনুষ‍্য-দেবতায় ।

অহমিকা আর অপবাদে  তাই
যত‌ই ছিটিয়ে দিস
আমার ভিতরে বাইরে থুতু
আমিও এক দুঃখিনী মায়ের
একমাত্র ঋতু ।

         ----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                            ০৯/১১/২০১৮

১১৬ : :। পূর্বাভাস

দেখি দূর দিগন্তে সূর্যাস্তে ! রক্তিম আভায় আকাশ বিহঙ্গেরা ফিরিছে বাসায় ডানা মেলি উদ্ধাকাশ । এ কার বিদায়ের পূর্বাভাস !? যাবার আগে তার বার্ত...