কি জানি আজ হলো !
তোমায় খুঁজি কেনো ?
ওরে মেঘলারে তোর আকাশ
তুই অমন কেন তাকাস !?
ক্ষণিক চুপে, মেঘ বললো আসি
বললেম ,আমায় সঙ্গে নিয়ে যাবি ?
মেঘ বললো চল্---
তবে, ভালো-বাসবি বল্ !
মেঘ বললো, আষাঢ় মাসে আদুরে হাওয়ায়
আতরপানি নিয়া
ডাক পাড়বো আসিস কিন্তূ
শুনবোনাকো মানা !
মেঘের উপর মেঘ
মন হারানোর দেশ
মেঘের উপর আকাশ
আকাশ মোহে বাতাস
তোর ভিতরে মোর
নিরব-নিবিড় প্রকাশ ।
যখন মেঘ ছুঁইবে আকাশ
আর আকাশ ছুঁয়ে মন
ঠিক তখনি ডাক পাড়বো
মোর বাড়িতে তোমার নিমন্ত্রণ ।
আকাশ কহে মেঘ
কোথারে তোর ঘর !
মেঘ বলে বাতাস আমার ভর
ভালোবাসার সাগর পেলে ----
সেথায় ঝরোঝর্ ।
চমকে আকাশ ডাকে আয়
বৃষ্টি হয়ে ঝরি আমরা দুজনায়।
মেঘের মনে আশা ,বাতাসে ফেরে ভাষা !
শাওনে হবো বৃষ্টি, নব নব সৃষ্টি !
শরৎ মেঘে যখন সে রূপবতী ডাগর
তখন আমি অতলান্ত সাগর
আমার বুকে তোমার ছায়া
কেমন খেলবে সারাক্ষণ !
পূর্ণিমাতে মিলন তিথি
তোমার-আমার খেলা
আমার মনু তোমার পানে
কেমন মেলে দেবে ডানা !
তোর ভিতরে আমি
আর আমার ভিতর তুমি
তোমার-আমার আসা-যাওয়া--
নিত্য-নিরবধি ।
ঐদিকে কোন পাহাড় ডাকে মেঘ
আয় ,আমার বুকে ঝর
ঝরনা-ধারায় জনম্ নেবে
সত্য-শিবম্ -সুন্দরম্ ।
হঠাৎ করেই লক্ষ্য গেলো চলে
চোখেতে চোখ রেখে, বললেম
চোখের পাতায় কালি কেন !
কি হয়েছে রে ??
তুই বললি ঢের হয়েছে , ওসব কথা ছাড়
আমার সঙ্গে যাবি ,পাহাড়-বন----
আর জংলা নদীর পাড় ?
চলনা এখন আমার সনে
বন-পাহাড়ি পথে
ঝরনায় ঝরনা হয়ে ঝরে
মাথা ছুঁয়ে কপাল হয়ে
ছোঁবো ফুলের ঠোঁট
আতরপানি হয়ে আমি
ধোয়াবো পরশ-পাথর ।
বেশ বলেছিস , চল তবে যাই
হাওয়ার সনে মাতি
সময় বেশি নেই
বুঝি পোহালো সোহাগ-রাতি !
এমনি করেই কাটলোগো দিন
ফুরালো কত রাত !
সত্যিই কি আসবে তুমি
সাজাতে গৃহবাস ??
----------- এ এফ এম বাইতুল্লা