কোন এক-গাঁয়ের ছেলে
ধুলোয় পড়ে খেলে ,
ধুলোমাখা গা
মলিন দু খান পা ।
সরলতায় মনে
ছুটছে রণেবনে ,
এমনি করেই
দিনগুলো তার
কাটছে গুনে গুনে ।
হঠাৎ উঠলো
ঝোড়ো হাওয়া
উঠলো ধুলোর ঝড় ,
ঝড়ের বেগে গুল্ম নড়ে
ঝরে কচিপাতার মন ।
কিশলয়ের কিশোর শিশু
দিবে শহর পাড়ি ,
এমনি করেই ছিঁড়বে যে ওর
গাঁয়ের টানের নাড়ি ।
শহরপথে ধুলোর ঝড়ে
উঠছে নাভিশ্বাস !
নয়নমেলে শহর দেখে
হয়নাকো বিশ্বাস !
শহরপাড়া যায় না গড়া
মনের খেলাঘর
ইঁট-পাথরে থমকে গিয়ে
ভাঙে তাসের-ঘর ।
বস্তিপাড়ার বদ্ধ ঘরে
মন তো রহে না !
অচেতনে দাঁড়ায় এসে,
মনের আয়নায় ।
শহর পাড়ায় দূরে দূরে
হন্যে হয়ে ঘুরে ঘুরে
মন পোড়ে তার
সুদূর গাঁয়ের ----
ধুলি-ধূসর পথে ।
আকাশে মেঘের গায়ে গায়ে
নৌকা ভাসে জোয়ার -বানে ,
ঝর ঝর ঝর ঝরনা ধারায়
ওথাল-পাথাল জীবন -যৌবন ।
দ্বাদশ শিক্ষা পূর্ণ করে
এখন সে কলেজ ঘরে
মন ফেরে তার নিরুদ্দেশে ,
বি.কম. এ অনার্স -কোর্সে
মনমেঘে তার প্রেম ঘনায়ে ।
ধনীর কূলের আল-দুলালী
রঙেও সে আলতা-পালি
মানে -গুণে উচ্চবিত্ত
গুণমুগ্ধে পরিবৃত্ত
দেওয়া নেওয়ার ইতিবৃত্ত ।
মনতো রহেনা !
মনের ফাঁদে বন্দী কাঁদে
করলো সন্ধী আলাপনে,
ভাসালো তরী ভবিষ্যতে ।
অনেকগুলি বর্ষ পরে
জীবন -যানের ঘূর্ণিপাকে
মন তো রহে না !
এমন তো সহে না !!
চাকরী বাকরী ব্যবসা-বাটি
সবই পেলো জীবনঘটি
শুধু সেই তো এলো না !
এ মন তো রহে না !
এ মন তো সহে না !
---------------------------- !!
---------- এ এফ এম বাইতুল্লা
No comments:
Post a Comment