Saturday, November 24, 2018

৬০ : ছবি

কয়েকদিন হলো তোমায়  খুঁজে পাচ্ছিনা !
কদিন কোথ্থাও তোমায় দেখছি না !
শুধুই মনে পড়ছে তোমায় !
শেষদিন, শেষচিঠি----- !
তোমার মনেপড়ে কি ?
 
তোমায়  একটা কথা ,আজো বলা হয়নি !
সোশ‍্যালে হারিয়ে যাওয়া ------
তোমার সেই  সাদা কালো পাসপোর্ট ছবি
এখন‌ ,"ও"  আমার কাছে
হয়তো তুমি জানতে পারোনি !?

কদিন হলো তোমার ছবিটা কোথ্থাও খুঁজে পাচ্ছিনা !
তন্ন তন্ন করে খুঁজছি তোমাকে
না না কোথ্থাও তুমি নেই !
প্রায় হতাশ হয়ে তোমার মুখটা মনে করার চেষ্টা করছি
ক‌ই ! তুমি কোথায়  !
সামনে আসো না কেন !
এভাবে পালাতে চাও কেন ?

প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছি
হয়তো আর কখন‌ও নয় !
আর আসবে না তুমি  !
হঠাৎ একদিন পার্সের ভিতর থেকে ---------
চমকে উঠেছিলাম প্রায়---
এভাবে তুমি ফিরে আসতে পারো ?

এখন ,ছবিটা অস্পষ্ট হয়েছে বটে
অবহেলায় নয় , সময়ের স্রোতে
মনের আয়নায় ছবি
যেভাবে ভেসে ওঠে !!

             ------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                             ২৩/১১/২০১৮
                    মেট্রো গীতাঞ্জলি ,কোলকাতা

Sunday, November 18, 2018

৫৯: মায়ার বাঁধন

এভাবে কি পালানো যায় ?
এভাবে কি আড়াল করা যায় ?
নিজেকে  ? মনের চাতালে------ !
মেঘ আর কুয়াশার আবডালে
বার বার আকাশে-আড়ালে !

একটা সময় পরে , 
নবদিগন্তে !
যাবে যে সে মেঘ সরে
নব নব রঙে , নব নব রূপে
ধরায় পড়িবে ধরা
মায়ার বাঁধনে ।।

          ----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                ১৯/১১/১৮

Tuesday, November 13, 2018

৫৮: জানা-অজানায়

আশ্চর্য হ‌ই !
ওতো দূর হতে ------
তুমি কিভাবে আসো ?
আর কিভাবে পারো !!
এতোটাই ভালোবাসো ?

এতদিন জানতাম শুধুই---
কাছ থেকেই  কাছে আসা যায়
ভালোবাসা যায় !
কিন্তূ এখন বুঝলাম
দূরে থেকেও কাছে আসা যায়
ভালোবাসা যায় ,
এতোটাই ভালোবাসা যায় !!

               -------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                  ১৪/১১/২০১৮

Monday, November 12, 2018

৫৭ : কেমন লোকরে বাবা !

তুমি মনে মনে বলো
কেমন লোকরে বাবা ! বড় বেশরম্ !
আসলে আমি খেলতে নেমে ---
প্রথমে বুক-পেট
তারপর গলাবুক পর্যন্ত নেমে
তোমাকে আহ্বান করি ।
দেখি তুমি কতটা নামতে পারো!?
তুমি কিনারায় দাঁড়িয়েই বলে ফেলো
এই মরেছে ! লে ঠেলা !
এই বলেই দিব‍্যি পালিয়ে যাও ,
আমিও উঠে আসি ।
তুমি চলতে চলতে ভাবো----
কি লোকরে বাবা ! বড়ো বেশরম্ !
সব কথা কেমন অকপটে বলে !!

                ----------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                      ১৩/১১/২০১৮

Sunday, November 11, 2018

৫৬ : সৃষ্টি

সেই অপলক মায়াবী দৃষ্টি
ঝরে পড়ে বুকের জমিনে
ঠিক যেভাবে হয় সৃষ্টি-বৃষ্টি
বুকের গভীরে !

যেভাবেই তুমি আসো
ভালোবেসেই  ঝরো
আমার লেখনিতে !

           ---------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                ১৩/১১/২০১৮

৫৫: তুমি আর আমি

প্রতিদিন লিখি আর ভাবি

   এই বুঝি শেষ !

     তখনি ,   ঠিক তখনি

তুমি সামনে এসে দাঁড়াও

তাকাও অকপট

একটা নতুন প্লট ।

আমিও শুরু করি ,   চটপট

হিজিবিজি ,আঁকিবুকি ,দাঁড়ি-কমা

রাতের শেষে , কবিতার দেশে

তুমি আর আমি , একটা ছবি

কবি আর কবিতায় ।

               ----------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                  ১২/১১/২০১৮

Saturday, November 10, 2018

৫৪ : মনের আয়নায়

স্পষ্ট দেখছি
অত‍্যন্ত  স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ,
এতদিন জানতাম ------
দেখার জন‍্য দুটি চোখ ই যথেষ্ট
কিন্তূ , জানতাম না ,দেখার জন‍্য
মনের মাঝেও একটা আয়না আছে ।
বয়স যতো বাড়ছে
চোখের দৃষ্টিও ততো অস্পষ্ট হচ্ছে
গ্লাসের পাওয়ার ততো বাড়ছে
অথচ ! মনের মাঝের আয়নাটা---
ততো পরিস্কার হচ্ছে ।
সেই আয়নায় তোমাকে
স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ।
হ‍্যা ,  সেই চোখ , সেই ঠোঁট
সেই চোখের পাতা ,
অবিকল সেই আগের মতো ।
সেই মায়াবি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছো
আমিও পাথরের মতো চোখ বন্ধ করে
তোমাকে দেখছি ।
কতটা সময় , কত যুগ পার হয়ে যাচ্ছে ,জানিনা !
স্বপ্নটা ভেঙে যাবার ভয়ে ,ইচ্ছে করেই
চোখ বন্ধ করে আছি ।
কিন্তূ ,তোমার সেই অপলক দৃষ্টি
আমাকেও পাথর করেছে ।
ইচ্ছেহচ্ছে একবার , শুধু একবার !
তোমাকে ছুঁয়ে দেখি ।
তোমার অতি কাছে দাঁড়িয়ে , তুমিও কি !
শুধুমাত্র মাঝখানে একটা কাচের দেওয়াল ।
ভয় হয় , কাঁচটা না ভেঙে যায় !
শত চেষ্টা করেও পারিনা !
তুমি পারো না ?
একবার , শুধু একবার !
কাচের দেওয়ালটা ভেঙে -----
একবার বেরিয়ে আসতে !?

                      এ এফ এম বাইতুল্লা
                              ১০/১১/২০১৮
               

Wednesday, November 7, 2018

৫৩ : ঋতু

বয়স তখন বড্ড কাঁচা ---------
কঠিন মরা বাঁচা ,
যখন তখন মেতে উঠতাম ------
আমরা কচিকাচা ।
সকাল -বিকাল ,দুপুর-সাঁঝে
ছুটে বেড়াতাম বন
নীল আকাশের গায়ে গায়ে------
ভাসিয়ে দিতাম মন ।

পাঠশালাতে যাবার পথে
ঢিল পড়তো গায়ে
পাড়ার ছেলের উঁকিঝুঁকি
যখন যেতেম নায়ে ।
মনটা আমার আকাশ ছিল
পায়েতে ঝরনা
সকল বারণ ওড়না করেই
পুতুল ঘরে ধর্না।

পুতুল ঘরে বর-কন‍্যে
জমতো বড়ো ভালো
ওদের আবার ঘর সাজাতে
জ্বলে ওঠতো আলো ।
একদিন এক দুষ্ট বালক
এলো পুতুল ঘরে
আদর করে দুষ্টুমিতে
খামচে আমায় ধরে ।

কোমল মনে উতল-হাওয়ায়
বুক দুর্ দুর্ করে ।

অভাবী বাবা সংসারেতে
হলেন নিরুদ্দেশ
বেশ কিছুদিন কোত্থাও তার
মিলল না সন্দেশ ।
বছর কয়েক বাদে বাবা
ফিরে আসলো গাঁয়ে
অবহেলায় মারণ ব‍্যাধি
ছড়িয়েছে তার গায়ে ।

মাতা আমার বড্ড ভালো
করেনি মুখ কালো
যত্নে-সেবায় চেষ্টা করে
করতে তারে ভালো ।
সহজে তা সারার নয়
সেতো ভীষণ কঠিন অসুখ
মায়ে আমার বিলিয়ে দিলো
নিজের যতো সুখ ।

গ্ৰাম ছেড়ে তাই শহর পথে
আলো-আধারি ঘরে
নিত‍্য নতুন মিনসে তারে
ভাসায়  , দিন- দুপুরে ,রাতে ।
অনেক রাতে মায়ের ফেরা
সারা কালি গায় !
বাবার -আমার মুখ দেখে
ক্লান্তি যেত তার ।

বাইরে-ঘরে কবর দেওয়া
কষ্টে ভরা বুক !
জোটেনি তার স্বামীর ঘরে
একটু বেশি সুখ ।

বাবার অসুখ , মায়ের‌ও অসুখ
আকাশ এখন ছোটো
বাতাস আমার বিষিয়ে গেছে
ছোট্ট খাটে আঁধার ঘরে
পায়েতে বাঁধা সুতো ।
স্বপ্ন আমার ভেঙে গেছে
ঘাটে বাঁধা তরী
কলঙ্কে তাই চাঁদ  ভাসিয়ে
নিত‍্য জোয়ার তুলি ।

মনটা আমার আর ভাসেনা
স্বপ্নপরীর দেশে
স্বপ্নগুলো কবর দিয়ে
যাই ভেসে যাই হেসে ।
উজান গাঙে ভয় পাইনা
নাইতে নেমে খেলি
রক্ত-রঙে রাঙিয়ে আনি
দুঃখী মনে হোলি ।

সুপ্ত মনে জল ছিটিয়ে
জাগাই রাতের তারা
গুপ্ত মন্ত্রে,তন্ত্রে করি
সকল মনোহরা ।
সবুজ পাখির সবুজ ডানায়
ছিটিয়ে যত র‌ঙ
বিরহে যত দুঃখী মনের
করেছি শত চয়ন ।

অফিসের বাবু আর  মজদুর-মুঠে
নিয়ে যায় লুঠেপুটে
শরীরের ভাঁজে যা কিছু আছে
সবটাই দিই ঢেলে ।
রোজ-ই ভেজে আমাদের ঘামে
যত কামাতুর বুক
তৃষ্ণার্তে রক্ত-ঘামে
ভিজিয়েই পাই সুখ ।

আঁধার রাতে চাঁদ জাগিয়ে
বৈঠা বেয়ে যাই
দুঃখীমনে দ্বীপ জ্বেলে তাই
প্রসাদে উচ্ছিষ্ট পাই ।

ভালোর মাঝেই সুনাম
আমাদের‌ও দুর্নাম
ভোমরাগুলা ভাম হয়ে
খোলে গোপন খাম ।

সকলের কাজে ছুটি  আছে বটে
আমাদের ছুটি নাই
দিন -দুপুরে খুনসুটিতে
আমাদের জুড়ি নাই ।

হাজারের মাঝে বেচিয়া দেহ
আর কাঁদেনা আমার মন
শত শ্রমিকের মত
আমার‌ও  দেহ করেছে পরিশ্রম ।
বিন্দু বিন্দু রক্ত বেচিয়া
সঁপেছি সংসারে
যতখুশি থুতু ছুঁড়ে দাও দেহে
লাগেনা আমার গায়ে ।

মাতা-পিতা মোর দেবতাসম
ওদের তরেই মরি
ছোকরা-বুড়ো শত মানুষে
করেছে আমায় চুরি ।
ঘৃণার আধারে সমাজের বুকে
রয়েছি মৃতপ্রায়
জ্ঞানে-অজ্ঞানে সঁপেছি নিজেরে
মনুষ‍্য-দেবতায় ।

অহমিকা আর অপবাদে  তাই
যত‌ই ছিটিয়ে দিস
আমার ভিতরে বাইরে থুতু
আমিও এক দুঃখিনী মায়ের
একমাত্র ঋতু ।

         ----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                            ০৯/১১/২০১৮

Friday, October 26, 2018

৫২ : অনেকটা পথ হেঁটেছি আমি ......…

অনেকটা পথ হেঁটেছি আমি
গ্ৰাম-শহরের পথে ,
অনেক রূপেতে খুঁজেছি তোমায়
চেনা অচেনার মাঝে ।
পড়ন্ত বেলায় রক্তিম আভা
ছুঁয়েছে আকাশ -চিবুক
বুকের এপিঠে সাদা হয়ে গেছে
ওপিঠ  চিরসবুজ ।
সেই সবুজের মাঝে আজো ফোটে নাম
লাল রক্ত করবী ফুল
সে ফুলেই গাঁথি মালা
কবিতায় নির্ভুল ।।

            -----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                ২৭/১০/২০১৮

Tuesday, October 23, 2018

৫১ : সুরঞ্জনা

সুরঞ্জনা !
আমি আসবো কি রাতে ?
তোমার একান্তে কাছে !
রাতের আকাশে
স্বপ্নেরা ভাসে ।
জ‍্যোৎস্না রাতে
তারারা হাসে ।
সুরঞ্জনা !
আমি আসবো কি রাতে !?

                  ---------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                         ২৯/০১/২০১৯

Monday, October 22, 2018

৫০ :আর ঠিক কতটা গেলে ....... !!

দীর্ঘপথ আমি হেঁটে চলেছি
চলে এসেছি অনেকটা দূরে --------
জানিনা !আর ঠিক কতটা গেলে ----
তোমারেই  পাই খুঁজে !?

প্রতিক্ষায় আছি
কবে  ??কেটে যাবে আকাশের বুক থেকে ----
ঘন কালো মেঘ !!
একটা নতুন দিনের আবেশ -----
জানিনা !!আর ঠিক আর কতটা গেলে -------
তোমার ঠিকানা মেলে ?

তাই রোজ রোজ চিঠি লিখি-----
আকাশের বুকে
একটাও চিঠি তুমি ,পড়েছো খুলে ?
একটাও চিঠি তুমি পড়েছো ভুলে !
আর ঠিক কতটা গেলে-----
তোমারেই পাই  খুঁজে !?

নাকি !চলতে চলতে টপকে যাবো------
সীমানার ওপারে !
আর ঠিক কতটা গেলে------
আর ঠিক কতটা গেলে
তোমারেই পাবো খুঁজে ?
আর ঠিক আর কতটা গেলে --------
তোমারেই যাই ছুঁয়ে  !?
আর ঠিক কতটা গেলে ??
আর ঠিক কতটা গেলে !!

                     এ এফ এম বাইতুল্লা
                         ২৩/১০/২০১৮

Saturday, October 13, 2018

৪৯ : দুই কুড়ি ছুঁয়েছে তুষার

দুই কুড়ি ছুঁয়েছে তুষার
পক্বকেশে স্পষ্ট তার ছাপ ।
পছন্দ নয় বাড়তি সাজ
 মফঃস্বলে  ওর বাস।
মাঝে মধ্যে যায় ব্যস্ত কলকাতায় ।
দেখে মেকি রঙ রূপ বুট কোট-টাই ।

গড়ের মাঠের পাশ দিয়ে হাটতে হাটতে
পৌঁছে যায় যাদুঘর কিম্বা আর্ট-গ‍্যালারীতে
দেখে পুরাতন ফ্রেমে " লন্ডন থেকে লন্ঠনে "
বড়বাজার, মুটে-মজুর ,হাঁকডাক
গঙ্গার পাড়ে !নৌকাভর্তি সামান
ক‍্যাচকোচ গাড়োয়ান গাড়ি
আর ছোটোবড়ো কোঠাবাড়ি !

আজকের  কোলকাতা , নারী
বদলেছে শহর তার শহুরে শাড়ী
বেড়েছে শব্দ আর তার পরিধি
বাড়েনি শুধুই তার অন্তরের চৌহদ্দি
বিশ্বায়নে ,অ্যন্ড্রয়েড -ল‍্যাপটপে
হাতের মুঠোয় নিয়েছি সবে
মুহুর্তে ছোটাচ্ছি মন-------
পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে ।
দুইকানে কড,    ভেসে যাচ্ছি গানের সাগরে
আকাশ থেকে সমুদ্রতটে ।
দেখতে চাইছি না ,একবার চোখ মেলে
অবহেলায় পথের দুদিকে
পাথরের মতো দাঁড়িয়ে,চলেছি মাড়িয়ে
কত‌ই না যন্ত্রনা !!

              ------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                   ১৩/১০/২০১৮

Saturday, October 6, 2018

৪৮ : ঝরাপাতা

ভোমরার হুল , আবেগের ভুল
তুমিও কি নির্ভুল ??
অঘ্রাণের রাত,অন্তরাত্মায় ওঠেছিল চাঁদ
জেগেছিলে সারাটা রাত ।

হঠাৎ  শাওন এলে
তুমিও নদী হয়ে গেলে
ব‌ইতে চাইলে ,আমার বুকের উপর দিয়ে
আমিও পাথর হলাম ।

তুমিও  ফুঁসে উঠলে 
প্রচন্ড গর্জনে আছড়ে পড়লে- - -
আমার বুকের উপর ।
বুঝলাম  আবেগের ভুল
ফিরৎ দিলাম তোমায় তোমার  উৎসকুল ।

এরপর  পৌষ-মাঘ এলে
হাড় হিম করা রাতে
প্রয়োজন  বাঁচার লীনতাপ
তাও তুমি বুঝতে পারোনি !!

শীত যায়, মাস যায়, গ্ৰীষ্মবকাশ
কাঠফাটা রোদ, তরুর ছায়ায়
চাতকে চায় হিমশীতল হাওয়ায়
না ,তাও তুমি বুঝতে পারোনি !!

এরপর শরৎ এলো
প্রকৃতির বুক শান্ত হল
এখন অপার সুখ আর অফুরন্ত রূপ
সব‌ই তোমার অনুকূল ।

এরপর হেমন্ত এলো ,তুমি পর্ণমোচী হলে
শুকনো পাতার মতো ;বললে দূর হ !
হাওয়ায় হাওয়ার উড়ে গেল সে
দূর হতে দূরে , বহুদূরে ---------- !!

তুমি চাইলেও পৌঁছাতে পারবে না- - -
পারবে না আর ছুঁতে !
ঝরে পড়া পাতায়,কবিতার খাতায়
লিখে রেখে যাই ,শুধু তোমার জন‍্য
নব বসন্তের আবহ সঙ্গীত !!

                      এ এফ এম বাইতুল্লা
                             ০৫/১০/২০১৮

Friday, September 21, 2018

৪৭ : প্রতিবাদ

যতবার তোরা ছুঁড়বি গুলি- - -
বুকেতে কিম্বা মাথায় ,
ততবার আমি উঠব জ্বলে - - -
গানে আর কবিতায় ।

যতবার তোরা ছুঁড়ে দিস বিষ - - -
দেশ ছাত্রী-যুবার মুখে
ততবার আমি কবিতায় গানে- - -
সাড়া জাগাব জনে-প্রাণে ।

যতবার তোরা ছুঁড়বি গ্ৰেনেড- - -
তাজা বোমা আর গুলি ,
তাজা তরুণের রক্তের বিনিময়ে - - -
উদিবে সে নূতন দিনের রবি ।।

               --------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                 ২২/০৯/২০১৮
                                   

Thursday, September 20, 2018

৪৬: অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলো .......!

৪৬ : অনেকটা সময় পেরিয়ে গেল-------

অনেকগুলি বছর !

মনের মাঝে ঠুনকো বাসা -------

সেইবা ভাঙে ক‌ই !?

নয়ন তারায় ভালোলাগা-------

চুপ সাগরে র‌ই !

তোমার মাঝে বিশ্ব খুঁজি--------

কল্পলোকে র‌ই !!!

                     ---------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                      ২০/০৯/২০১৮

Monday, September 17, 2018

৪৫ : মোনা

শরৎ মেঘে-মেঘে
আকাশ বুঝি সাজে
ঘন্টা-কাসর বাজে
দূর আকাশে চাইয়া মোনা ------
উদাস কেন মনে ?

ছোট্ট সে এক টিয়া
করছে কিঁয়া কিঁয়া
খাঁচায়বন্দী হয়ে -----
নাচায় পুচ্ছখানা ।

স্বপ্নে রঙিন ডানা
উড়তে যে তার মানা,
অনেক খানি পথ
যায় ভেসে তার রথ ।

সকাল দুপুর সাঁঝে
সে স্বপ্নে ডানা মেলে
মন পথিকের সনে
মোনা সদাই হাসে-লাজে ।

         -----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                            ১৮/০৯/২০১৮

Tuesday, September 11, 2018

৪৪: মন ভালো নেই


তপ্ত দুপুরে , দাবদাহের ধুম
আহ্নিকান্তে নিশ্চিন্তে ঘুম ,
অপরাহ্নে আকাশের বুকে মেঘ
গোধূলিতে সিঁদুরকোটা রঙ ,
সন্ধ‍্যায় ,থমথমে বনবীথি
না ,না মন ভালো নেই !

দূরে ঐ দূরে মাঠের আল বরাবর
ক্রমশ সরু হয়েছে পথ
যেন কার রঙহীন সিঁথি !
মাঠ,বন সারি  সারি কাশফুল ফেলে
ছুটে চলে মন দূরে দূরে,পড়ন্ত রোদ্দুরে
না, না মন ভালো নেই !!

ক্রমে আঁধার নামে
বাতাসের মাঝে অশরীরি আসে
দূরে ঐ দূরে কোন আদুল গাঁয়ে
 কাদের মেয়ে ,স্বপ্নের মালা গাঁথে ?
না,না   মন ভালো নেই !
একদম মন ভালো নেই !!

ক্রমে ঘন হয় রাত ঘুম ঘুম ভাব
শুনি টুং টাং ধ্বনি ,আসছে আগমনী
পূজো পূজো ভাব ঠেলে কষ্ট-অভাব
বাঙালির ঘরে আনন্দ উপছে পড়ে ।
দূরে দূরে কাদের ঘরে ?
স্বদেশ-বিদেশ হতে কন‍্যা-সহোদর ফেরে ।

স্বদেশ ছেড়ে যারা ব‍্যস্ত বিদেশ-বিভুঁইয়ে
ব‍্যস্ত, বড় ব‍্যস্ত ,বড় ব‍্যস্ত জীবন !
কাজ আর কাজ ।
ভুলেছে দেশ-কোলকাতা
আর পূজো পূজো ভাব
না ,না ! মন ভালো নেই !

পূজা আসছে ,দেবী  আসছে
 সবাই ফিরেছে কি ! সব ঘরে ঘরে ?
 আলো জ্বলেছে কি  ? সব মন-প্রদীপে !
নাকি আলো জ্বলবে ,কিছু মন‌ও পুড়বে !
না না মন ভালো নেই !
একদম মন ভালো নেই ! !

                    ------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                        ১১/০৯/২০১৮

           

Thursday, September 6, 2018

৪৩ : বন্ধু এসো ফিরে --------

ওগো বন্ধু ,এসো ফিরে
মোর মনের গহন-গহীনে ।
দিনে-রাতে পাখি ডাকে
কলি ফোটে শাখে শাখে
ওগো বন্ধু ,এসো ফিরে
মোর মনের গহন-গহীনে ।।

পাখী উড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে
শাখী নড়ে ঝোড়ো ঝড়ে
তুমি আছো মনে-প্রাণে
পাখী গাহে কুহতানে
ওগো বন্ধু ,এসো ফিরে
মোর মনের গহন-গহীনে ।।

                       -----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                          ০৬/০৯/২০১৮

Tuesday, September 4, 2018

৪২: ফিরে দেখা

অনেকগুলি বসন্ত পেরিয়ে - - -
কোয়েল আর বাসন্তির সোহেল
এখন অনেক অভিজ্ঞ
দুজনেই কথা বলে  ধীরে,
সূর্যাস্তে , পাখিরা যেভাবে ফেরে নীড়ে ।
হয়তো তারাও , স্মৃতির মালা গাঁথে ধীরে -ধীরে ।
ধূ ধূ প্রান্তরে ,চিক্ চিক্ করে বালি
স্মৃতির পাতায়, ভেসে ওঠা স্মৃতিকণাগুলি !
খাঁ খাঁ করে মন ,
তার মাঝে পোড়ে, অমূল‍্য-রতন !!

শূন‍্যে  উড়ন্ত কপোত
রেখেছে শপথ
"ভোলেনি তোমায়
চলেছে মনের ভুলে,
মনের বাঁধন খুলে
তোমায়  রেখেছে  তুলে
হৃদয়-সিংহাসনে "।।

তবে কেন তোর
চোখের কোণে জল ! ?
করছে ছলো-ছল
আজ মন বড় চচ্ঞল !!

                -----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                   ০৪/০৯/২০১৮

Friday, August 31, 2018

৪১ : আমার চোখে ভালোবাসার সংজ্ঞা :

ভালোবাসি ভালোবাসি
মন কহে হাসি-হাসি ,
ভালোবাসি ভালোবাসি
দুটি হৃদয়ের আঁকিবুঁকি ।
ভালোবাসা দুই হৃদয়ের মিলন না বিরহ ??

ভালোবাসা কি ?
প্রেম না অর্ধনগ্না শরীর  ?
যদি তুমি প্রবিষ্ট হ‌ও গভীর থেকে গভীর
জেনো সে এক মহান নাম
ক্ষুদ্র-গন্ডিতে বাঁধা পড়ে না তার ধাম ।

ভালোবাসা কি  শুধুই ভালোলাগা ;
নাকি মনে মনে কথা বলা ?
বিশ্বাসে খেলে যাওয়া দুটি মন ?
যা না পেয়ে শুধু মনে করে করে
দু-ফোঁটা  চোখের জল  !

ভালোবাসা  কি - - -
মনের আকাশে ধেয়ে আসা ঝড় ?
নাকি উন্মত্ত পাগল-পারা ! ?
মানে-অভিমানে অশ্রু-বিগলিত নয়ন
আর কাকভেজা প্রতিকী স্মরণ !!

ভালোবাসা কি অনুভব ?
সে কি জানেনা হারতে ?
গভীর অচেতনে, কেহ আসে হৃদয়-দ্বারে
চাহেনা সে শরীর ,
অপেক্ষমান জেনো ।

ভালোবাসা কি সমান্তরাল পথ ?
নাকি চড়াই-উতরাই,কন্টকাকীর্ণ !
যদি এপথে এসে
পদপৃষ্টে ফোটে কাঁটা
জেনো বিদ্ধ তুমি ।

বাক‍্য-বাণে যদিও হৃদয় হয় ক্ষত-বিক্ষত
তবুও সে রহে হৃদি পরে অক্ষত ।
কোনো এক শাওন-রাতে,
সীমাহীন অথৈ দৈরায়
সে এক পানসি নৌকা !!

                         --------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                        ০১/০৯/২০১৮

Monday, August 27, 2018

৪০ : বন্ধু , তুমি কী যাবে !

বন্ধু ,তুমি কী যাবে  ঐ নীল সমুদ্রপারে ?
যেথায় সাগরের জল খেলা করে
রঙ-বেরঙের পাখি, কাটে আ‌ঁকেবুঁকি
রেখে যায় পদচিহ্ন !

বন্ধু  , তুমি কী যাবে  ঐ নীল-সমুদ্র পারে ?
যেথায় ,জলস্রোতে মুছে যায় রেখা
মোছেনা একতারায় বাঁধা , সুরেলা আবেশ !

বন্ধু  , তুমি কী যাবে  ঐ নীল সমুদ্র-পারে ?
যেথায় বিরহ-বিধুর  আবেগের গান ,গায় সমুদ্র-পাখি
অশ্রু-সজল ধোয়ায়  আঁখি !

বন্ধু ,তুমি কী যাবে  ঐ নীল সমুদ্র-পারে ?
যেথায় যত অভিমানী মন,কেন যে হারে !           বন্ধু ,তুমি কী যাবে ঐ নীল সমুদ্র-পারে ??

            ----------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                ২৯/০৮/২০১৮

Tuesday, August 21, 2018

৩৯ : মাংসের লোভ

কর্মসূত্রে ঘুরে বেড়াই
চট্টা ,বাটা,বজবজ,নৈহাটি,পানিহাটিবিভিন্ন প্রান্তে ।
প্রত‍্যহ চলার পথে দেখি বিভিন্ন ঘটনা ,
কিছু স্মরণে ,কিছু  বিস্মরণে
ছোট্ট ছোট্ট ঘটনাগুলো ,একটা গল্পের রূপ নেয় ।

আজকাল একটা ঘটনা প্রায়ই লক্ষ্য করছি ,
তাই লিখছি
প্রতিদিনদেখি দোকান-বাজার ,রাস্তায়
কত-রকমের মানুষ ,তাদের কত রকম চাহিদা !
কেহ কিনছে ,কেহ বেচচে,কেহ নিজেই বিকোচ্ছে !
কত অসহায় মানুষ ! দুমুঠো অন্নের জন‍্য ,
দোকানে -বাজারে ,বাসে-ট্রেনে,এমনকি অফিস-বাড়িতে,ফ্লাটে-ফ্লাটে ঘুরছে ।

এদের মাঝেই দেখি
এক বুড়ি ,গায়ে সাদা মলিন থান,
পায়ে ছেঁড়া চটি দড়ি দিয়ে বাঁধা ,
খসখসে কোচকানো চামড়া ,
রোদে-জলে তামাটে হয়েছে বটে ।
দুটি টাকার জন‍্য, এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছে ,
মুখে বুলি ,দুটি টাকা দিবে বাবু ?
খালি ঝুলিতে কখন‌ও‌ আওয়াজ ওঠে , কখন‌ও নয় !
অথচ ,গতরখাকী ওরা ?কাঙালীপনায় !
ছুটছে শুধু ছুটছে ! হৃষ্টপুষ্ট শরীরে দিব‍্যি চলাফেরা
করছে ।
ঝুলিতে ঘন ঘন ঠং ঠং আওয়াজ তুলে ।
মিথ‍্যার আকড়ানী, মিথ‍্যার শত শত বুলি
ভার বাড়ায় ঝুলির ।

বুড়ি নীরবে এসব দেখে
বোধ হয় ,সেও বুঝে ফেলে আগাগোড়া
সিক্ত চোখ ,শূন‍্য থলি ,
বয়সের ভার , বুদ্ধিতে শান ।

বুড়িও শুরু করলো ,
খোঁজ চলল রোজ রোজ ,
সোনাগাছি,নৈহাটি,পানিহাটি,বারাসাত,বজবজ ।
 খোঁজ,খোঁজ,খোঁজ!                
 হ‍্যাঁ,মিলেছে; মাংসের খোঁজ ।

দেখি,বুড়ি এখন একা নয়, দোক্কা
ছুটছে এদিক ওদিক, মাংসের ফেরি
লোলুপ চোখগুলোও ঘুরছে,তারাও গন্ধ পেয়েছে
বুড়িকে আবডালে পেয়ে,কিযে বলাবলি করে !?
কিসের স‌ওদা ?কিসের লেনাদেনা ?
বুড়িও স‌ওদা শিখলিয়া ----
এক হাত মে রূপিয়া দে দো
অর এক হাত সে মস্তিয়া লে লো
হা              হা           হা         হা  !!

               ----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                 ২১/০৮/২০১৮

Sunday, August 19, 2018

৩৮ : শুরু না শেষ ?

চোখ বন্ধ করে অনুভব করি
দুই নয়নের মাঝে , অদ্ভুত এক চিহ্ন !
নিজেরে হারাই অচলায়তনে ,
ফিরে যাই যুগ যুগ পিছনে ।
বিপরীত দুই সত্ত্বা ; আদি মাতা-পিতা
সৃষ্টির উন্মত্ততায় নিবেদিত  ।
দাঁড়াশের ন‍্যায় গতিশীল ,পুচ্ছ নিয়ে - - -
ছুটে চলেছে সৃষ্টি ,
সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে ছুঁতে হবে সৃষ্টির আধার ,
অসীম শক্তি নিয়ে মরণপণ লড়াই
কেটে দেয় বিস্ময়সূচক চিহ্ন - - -
সৃষ্টি না ধ্বংস ?
আদি-অনাদি কাল  ধরে এ রহস‍্য ঘনীভূত !
শ্রেষ্ঠজীব ভুলপথে এলোপাথাড়ি ,
ফায়ারিঙ স্কোয়াডেই  শেষ হয়ে যায় সৃষ্টি !
জীবনের দাঁড়ী , দাঁড়ী নিয়া , দাঁড়িতেই  সমপিত
  আঁকে প্রশ্নসূচক চিহ্ন - - -
                    শেষ না শুরু ??

           ------------এ এফ এম বাতুল্লা
                                  ১৮/০৮/২০১৮

Friday, August 17, 2018

৩৫ : কি আমার আছে ??

চেয়ারে এসে বসি

সে সামনে এসে দাঁড়ায় ।

আধুনিকতায়  চোখে রাখে চো

ঠোঁটে রাখে   ঠোঁট

তৃপ্তির স্বাদে , আসে  আরো কাছে

কি আমার আছে ?

যা তোমায় পাগল করে !!

                        ------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                                ১৭/০৮/২০১৮

Wednesday, August 15, 2018

৩৪: ফাগুনে আগুন

ষাটে এসে সেঁটে আছি ,দেওয়ালের কাছে
ভেবেছো , মরে গেছি ?
না  ,মরেনি জীবন ---- !
দেখেছো ,কাঠ-কয়লা জীবন ! ?
তার‌ও মাঝে প্রাণ আছে
আছে অঙ্গারে জ্বলন্ত মন !
শুধু একবার ,ভালোবেসে এসো কাছে
চকমকি আছে ?
দাও জ্বেলে মন-প্রদীপে আগুন ,
নিঃশেষে জ্বলে ,দিয়ে যাই জ্বেলে
জগৎ-সংসারে ,ফাগুনে আগুন !!

                  ----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                        ১৬/০৮/২০১৮

Monday, August 13, 2018

২৬: নেতারূপ জমিদার

আজো মফঃস্বলে ,নেতারূপ জমিদার মেলে
চেহারায় যাই হোক ঢঙে জমিদার
জমিজমা নাই থাক আছে হাঁক-ডাক
বাক‍্যের বুলিতে ছেড়ে যায় হাঁফ ।।

ভুরি ভুরি টাকা তার আছে গাড়ি-বাড়ি
স্বভাবেও খায় নাকি আধপোলা নাড়ী ।
ঈদ-পূজা সবেতেই করে দান-ধ‍্যান
মজদুর ঠেলাগাড়ি পায়না মজুরির দাম ।।

আম খেয়ে আঁটি ফেলে মনের খেয়ালে
নেতারূপ ঢঙেতে নাকি সবকিছু চলে ।
আমগাছে আম ফলে জামগাছে জাম
 দূষিত রক্তে জন্মায় বেইমান ।।

কালে কালে কলেবর বদলায় রূপ
দেখো সবে দেখে যাও জমিদার স্বরূপ ।।
পাজি গাজী হাজী সাজে আসে-যায়  তাজে
সাহেবের টুপি পরে যায় অকাজে  ।

পুরুতের টিকি মাথা পৈতে দাদা
তসবির মালা জপেও মনে থাকে কাদা !
বজ্জাতি ধুয়েমুছে হোক তবে সাদা
ভায়ে ভায়ে মিলি সবে নাহি কোনো বাধা ।।

                           ------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                                  ১৫/০৮/২০১৮

২৪: নিঃস্বার্থে ছাড়

মনের অভিসারে
তোমার অগোচরে
ছিলেম ভালোই বেশ ,
এখন আর আগের মত
পাইনা তোমার আবেশ !

লাটাই ঘুড়ির ঐ সুতোটি কাটতে তুমি চাও !
ফেলে-আসা বাদলা দিনের স্মৃতিচিহ্ণ মুছে দাও !
স্মৃতির টানেই খুঁজি আবেশে তাই পুঁজি ।।
মনের-খাঁচা দিলেম খুলে যাওগো ভেসে যাও
রঙিন-দেশে পাবে স্বপ্নভরা নাও ।।

ডাকবো নাহে পিছু
  চাইবো নাগো কিছু ,
স্মৃতির নোঙর নিলেম  তুলে
ভাসান দিলেম বিদায় ফুলে
      যাওগো ভেসে  যাও !!
  

হরেক-ফুলে গাঁথা মালা
      দিলেম খুলে হায় !
মন আকাশে সাদা-তুলা
ভাইস‍্যা ভাইস‍্যা যায় !
যায়গো ভাইস‍্যা যায় !!

           ------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                  ১৫/০৮/২০১৮

Sunday, August 12, 2018

২৩ : অনেক দিনের পরে

           আজ
অনেক দিনের পরে
দখিনা পবন সনে
আসছে ওসে ফিরে
নূতন সে এক রূপে
তাই দখিনা বাতায়নে - - -
র‌ইনু অপেক্ষাতে ।।

বিরহ নিশি শেষে
দখিনা পবন  সনে
আসছে ওসে ফিরে
জড়াবে আমায় - - -
মধুর আলিঙ্গনে ।।

অনেক দিনের পরে
ওসে আসছে আমার ঘরে
নিশির শিশিরে , কামিনী সৌরভে
ভাসাও আমারে - - -
  ডিঙা যেমন সাগরবুকে  ভাসে।।

অনেক দিনের পরে
আসছে ওসে ফিরে
নূতন সে এক রূপে
শশীর আলোর ছটায়
ধরণী যেমন সাজে
তোমার   আগমনে - - -
এ হৃদয় মম নাচে ।।

অনেক দিনের পরেই
তুমি  হয়তো আসবে বলে
আমি আসি হাসি ,দখিনা -বাতায়নে ।।

অনেক দিনের পরে
আজ এসেছো আমার ঘরে
       মধুর আহরণে , অলিরা যেমন ছোটে
মম হৃদয় মাঝারে - - -
লাল-গোলাপ কলি ফোটে ।।

                   -------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                            ১৪/০৮/২০১৮

১১৬ : :। পূর্বাভাস

দেখি দূর দিগন্তে সূর্যাস্তে ! রক্তিম আভায় আকাশ বিহঙ্গেরা ফিরিছে বাসায় ডানা মেলি উদ্ধাকাশ । এ কার বিদায়ের পূর্বাভাস !? যাবার আগে তার বার্ত...