Friday, August 31, 2018

৪১ : আমার চোখে ভালোবাসার সংজ্ঞা :

ভালোবাসি ভালোবাসি
মন কহে হাসি-হাসি ,
ভালোবাসি ভালোবাসি
দুটি হৃদয়ের আঁকিবুঁকি ।
ভালোবাসা দুই হৃদয়ের মিলন না বিরহ ??

ভালোবাসা কি ?
প্রেম না অর্ধনগ্না শরীর  ?
যদি তুমি প্রবিষ্ট হ‌ও গভীর থেকে গভীর
জেনো সে এক মহান নাম
ক্ষুদ্র-গন্ডিতে বাঁধা পড়ে না তার ধাম ।

ভালোবাসা কি  শুধুই ভালোলাগা ;
নাকি মনে মনে কথা বলা ?
বিশ্বাসে খেলে যাওয়া দুটি মন ?
যা না পেয়ে শুধু মনে করে করে
দু-ফোঁটা  চোখের জল  !

ভালোবাসা  কি - - -
মনের আকাশে ধেয়ে আসা ঝড় ?
নাকি উন্মত্ত পাগল-পারা ! ?
মানে-অভিমানে অশ্রু-বিগলিত নয়ন
আর কাকভেজা প্রতিকী স্মরণ !!

ভালোবাসা কি অনুভব ?
সে কি জানেনা হারতে ?
গভীর অচেতনে, কেহ আসে হৃদয়-দ্বারে
চাহেনা সে শরীর ,
অপেক্ষমান জেনো ।

ভালোবাসা কি সমান্তরাল পথ ?
নাকি চড়াই-উতরাই,কন্টকাকীর্ণ !
যদি এপথে এসে
পদপৃষ্টে ফোটে কাঁটা
জেনো বিদ্ধ তুমি ।

বাক‍্য-বাণে যদিও হৃদয় হয় ক্ষত-বিক্ষত
তবুও সে রহে হৃদি পরে অক্ষত ।
কোনো এক শাওন-রাতে,
সীমাহীন অথৈ দৈরায়
সে এক পানসি নৌকা !!

                         --------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                        ০১/০৯/২০১৮

Monday, August 27, 2018

৪০ : বন্ধু , তুমি কী যাবে !

বন্ধু ,তুমি কী যাবে  ঐ নীল সমুদ্রপারে ?
যেথায় সাগরের জল খেলা করে
রঙ-বেরঙের পাখি, কাটে আ‌ঁকেবুঁকি
রেখে যায় পদচিহ্ন !

বন্ধু  , তুমি কী যাবে  ঐ নীল-সমুদ্র পারে ?
যেথায় ,জলস্রোতে মুছে যায় রেখা
মোছেনা একতারায় বাঁধা , সুরেলা আবেশ !

বন্ধু  , তুমি কী যাবে  ঐ নীল সমুদ্র-পারে ?
যেথায় বিরহ-বিধুর  আবেগের গান ,গায় সমুদ্র-পাখি
অশ্রু-সজল ধোয়ায়  আঁখি !

বন্ধু ,তুমি কী যাবে  ঐ নীল সমুদ্র-পারে ?
যেথায় যত অভিমানী মন,কেন যে হারে !           বন্ধু ,তুমি কী যাবে ঐ নীল সমুদ্র-পারে ??

            ----------- এ এফ এম বাইতুল্লা
                                ২৯/০৮/২০১৮

Tuesday, August 21, 2018

৩৯ : মাংসের লোভ

কর্মসূত্রে ঘুরে বেড়াই
চট্টা ,বাটা,বজবজ,নৈহাটি,পানিহাটিবিভিন্ন প্রান্তে ।
প্রত‍্যহ চলার পথে দেখি বিভিন্ন ঘটনা ,
কিছু স্মরণে ,কিছু  বিস্মরণে
ছোট্ট ছোট্ট ঘটনাগুলো ,একটা গল্পের রূপ নেয় ।

আজকাল একটা ঘটনা প্রায়ই লক্ষ্য করছি ,
তাই লিখছি
প্রতিদিনদেখি দোকান-বাজার ,রাস্তায়
কত-রকমের মানুষ ,তাদের কত রকম চাহিদা !
কেহ কিনছে ,কেহ বেচচে,কেহ নিজেই বিকোচ্ছে !
কত অসহায় মানুষ ! দুমুঠো অন্নের জন‍্য ,
দোকানে -বাজারে ,বাসে-ট্রেনে,এমনকি অফিস-বাড়িতে,ফ্লাটে-ফ্লাটে ঘুরছে ।

এদের মাঝেই দেখি
এক বুড়ি ,গায়ে সাদা মলিন থান,
পায়ে ছেঁড়া চটি দড়ি দিয়ে বাঁধা ,
খসখসে কোচকানো চামড়া ,
রোদে-জলে তামাটে হয়েছে বটে ।
দুটি টাকার জন‍্য, এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছে ,
মুখে বুলি ,দুটি টাকা দিবে বাবু ?
খালি ঝুলিতে কখন‌ও‌ আওয়াজ ওঠে , কখন‌ও নয় !
অথচ ,গতরখাকী ওরা ?কাঙালীপনায় !
ছুটছে শুধু ছুটছে ! হৃষ্টপুষ্ট শরীরে দিব‍্যি চলাফেরা
করছে ।
ঝুলিতে ঘন ঘন ঠং ঠং আওয়াজ তুলে ।
মিথ‍্যার আকড়ানী, মিথ‍্যার শত শত বুলি
ভার বাড়ায় ঝুলির ।

বুড়ি নীরবে এসব দেখে
বোধ হয় ,সেও বুঝে ফেলে আগাগোড়া
সিক্ত চোখ ,শূন‍্য থলি ,
বয়সের ভার , বুদ্ধিতে শান ।

বুড়িও শুরু করলো ,
খোঁজ চলল রোজ রোজ ,
সোনাগাছি,নৈহাটি,পানিহাটি,বারাসাত,বজবজ ।
 খোঁজ,খোঁজ,খোঁজ!                
 হ‍্যাঁ,মিলেছে; মাংসের খোঁজ ।

দেখি,বুড়ি এখন একা নয়, দোক্কা
ছুটছে এদিক ওদিক, মাংসের ফেরি
লোলুপ চোখগুলোও ঘুরছে,তারাও গন্ধ পেয়েছে
বুড়িকে আবডালে পেয়ে,কিযে বলাবলি করে !?
কিসের স‌ওদা ?কিসের লেনাদেনা ?
বুড়িও স‌ওদা শিখলিয়া ----
এক হাত মে রূপিয়া দে দো
অর এক হাত সে মস্তিয়া লে লো
হা              হা           হা         হা  !!

               ----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                 ২১/০৮/২০১৮

Sunday, August 19, 2018

৩৮ : শুরু না শেষ ?

চোখ বন্ধ করে অনুভব করি
দুই নয়নের মাঝে , অদ্ভুত এক চিহ্ন !
নিজেরে হারাই অচলায়তনে ,
ফিরে যাই যুগ যুগ পিছনে ।
বিপরীত দুই সত্ত্বা ; আদি মাতা-পিতা
সৃষ্টির উন্মত্ততায় নিবেদিত  ।
দাঁড়াশের ন‍্যায় গতিশীল ,পুচ্ছ নিয়ে - - -
ছুটে চলেছে সৃষ্টি ,
সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে ছুঁতে হবে সৃষ্টির আধার ,
অসীম শক্তি নিয়ে মরণপণ লড়াই
কেটে দেয় বিস্ময়সূচক চিহ্ন - - -
সৃষ্টি না ধ্বংস ?
আদি-অনাদি কাল  ধরে এ রহস‍্য ঘনীভূত !
শ্রেষ্ঠজীব ভুলপথে এলোপাথাড়ি ,
ফায়ারিঙ স্কোয়াডেই  শেষ হয়ে যায় সৃষ্টি !
জীবনের দাঁড়ী , দাঁড়ী নিয়া , দাঁড়িতেই  সমপিত
  আঁকে প্রশ্নসূচক চিহ্ন - - -
                    শেষ না শুরু ??

           ------------এ এফ এম বাতুল্লা
                                  ১৮/০৮/২০১৮

Friday, August 17, 2018

৩৫ : কি আমার আছে ??

চেয়ারে এসে বসি

সে সামনে এসে দাঁড়ায় ।

আধুনিকতায়  চোখে রাখে চো

ঠোঁটে রাখে   ঠোঁট

তৃপ্তির স্বাদে , আসে  আরো কাছে

কি আমার আছে ?

যা তোমায় পাগল করে !!

                        ------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                                ১৭/০৮/২০১৮

Wednesday, August 15, 2018

৩৪: ফাগুনে আগুন

ষাটে এসে সেঁটে আছি ,দেওয়ালের কাছে
ভেবেছো , মরে গেছি ?
না  ,মরেনি জীবন ---- !
দেখেছো ,কাঠ-কয়লা জীবন ! ?
তার‌ও মাঝে প্রাণ আছে
আছে অঙ্গারে জ্বলন্ত মন !
শুধু একবার ,ভালোবেসে এসো কাছে
চকমকি আছে ?
দাও জ্বেলে মন-প্রদীপে আগুন ,
নিঃশেষে জ্বলে ,দিয়ে যাই জ্বেলে
জগৎ-সংসারে ,ফাগুনে আগুন !!

                  ----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                        ১৬/০৮/২০১৮

Monday, August 13, 2018

২৬: নেতারূপ জমিদার

আজো মফঃস্বলে ,নেতারূপ জমিদার মেলে
চেহারায় যাই হোক ঢঙে জমিদার
জমিজমা নাই থাক আছে হাঁক-ডাক
বাক‍্যের বুলিতে ছেড়ে যায় হাঁফ ।।

ভুরি ভুরি টাকা তার আছে গাড়ি-বাড়ি
স্বভাবেও খায় নাকি আধপোলা নাড়ী ।
ঈদ-পূজা সবেতেই করে দান-ধ‍্যান
মজদুর ঠেলাগাড়ি পায়না মজুরির দাম ।।

আম খেয়ে আঁটি ফেলে মনের খেয়ালে
নেতারূপ ঢঙেতে নাকি সবকিছু চলে ।
আমগাছে আম ফলে জামগাছে জাম
 দূষিত রক্তে জন্মায় বেইমান ।।

কালে কালে কলেবর বদলায় রূপ
দেখো সবে দেখে যাও জমিদার স্বরূপ ।।
পাজি গাজী হাজী সাজে আসে-যায়  তাজে
সাহেবের টুপি পরে যায় অকাজে  ।

পুরুতের টিকি মাথা পৈতে দাদা
তসবির মালা জপেও মনে থাকে কাদা !
বজ্জাতি ধুয়েমুছে হোক তবে সাদা
ভায়ে ভায়ে মিলি সবে নাহি কোনো বাধা ।।

                           ------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                                  ১৫/০৮/২০১৮

২৪: নিঃস্বার্থে ছাড়

মনের অভিসারে
তোমার অগোচরে
ছিলেম ভালোই বেশ ,
এখন আর আগের মত
পাইনা তোমার আবেশ !

লাটাই ঘুড়ির ঐ সুতোটি কাটতে তুমি চাও !
ফেলে-আসা বাদলা দিনের স্মৃতিচিহ্ণ মুছে দাও !
স্মৃতির টানেই খুঁজি আবেশে তাই পুঁজি ।।
মনের-খাঁচা দিলেম খুলে যাওগো ভেসে যাও
রঙিন-দেশে পাবে স্বপ্নভরা নাও ।।

ডাকবো নাহে পিছু
  চাইবো নাগো কিছু ,
স্মৃতির নোঙর নিলেম  তুলে
ভাসান দিলেম বিদায় ফুলে
      যাওগো ভেসে  যাও !!
  

হরেক-ফুলে গাঁথা মালা
      দিলেম খুলে হায় !
মন আকাশে সাদা-তুলা
ভাইস‍্যা ভাইস‍্যা যায় !
যায়গো ভাইস‍্যা যায় !!

           ------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                  ১৫/০৮/২০১৮

Sunday, August 12, 2018

২৩ : অনেক দিনের পরে

           আজ
অনেক দিনের পরে
দখিনা পবন সনে
আসছে ওসে ফিরে
নূতন সে এক রূপে
তাই দখিনা বাতায়নে - - -
র‌ইনু অপেক্ষাতে ।।

বিরহ নিশি শেষে
দখিনা পবন  সনে
আসছে ওসে ফিরে
জড়াবে আমায় - - -
মধুর আলিঙ্গনে ।।

অনেক দিনের পরে
ওসে আসছে আমার ঘরে
নিশির শিশিরে , কামিনী সৌরভে
ভাসাও আমারে - - -
  ডিঙা যেমন সাগরবুকে  ভাসে।।

অনেক দিনের পরে
আসছে ওসে ফিরে
নূতন সে এক রূপে
শশীর আলোর ছটায়
ধরণী যেমন সাজে
তোমার   আগমনে - - -
এ হৃদয় মম নাচে ।।

অনেক দিনের পরেই
তুমি  হয়তো আসবে বলে
আমি আসি হাসি ,দখিনা -বাতায়নে ।।

অনেক দিনের পরে
আজ এসেছো আমার ঘরে
       মধুর আহরণে , অলিরা যেমন ছোটে
মম হৃদয় মাঝারে - - -
লাল-গোলাপ কলি ফোটে ।।

                   -------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                            ১৪/০৮/২০১৮

২২ : ফেবুমন

আয়না বুড়ি                             রঙিনচুড়ি
                    আয়রে ছুটে আয়
আয়না ছুঁড়ি                                নূতন শাড়ি
                     আয়রে ছুটে আয়
গয়নাগাটি                                 দাঁতেরপাটি
                   আয়রে নিয়ে আয় ।।
নকল চুলে                                   নকল ফুলে
                    সাজিয়ে দেবো আজ
তিনকুড়ি আজ                             কুড়ি হয়ে
                      সাজবে ছুঁড়ির সাজ ।।

নুড়ো বুড়ো                                 ভুলো হুলো
                      সেওতো দিলখোলা
এমন রঙে                                  রাঙিয়ে দেবো
                 হবেও সে মনভোলা ।।

ছোঁড়াছুঁড়ি বুড়াবুড়ি            সাজবে নূতন সাজে
                   হরেক রকম সেলফি করে
মন ভাসায়                                ফেবুর দেশে ।।

                   ছুঁড়িগুলা সব ছোঁড়া সাজে
                        ছোঁড়াগুলা সব ছুঁড়ি
                    বুড়াবুড়ি ঐ কুড়ির সাজে
                           দিচ্ছে হামাগুড়ি ।।

                      

                      কাঠবেড়ালি খেঁকশিয়ালী
                           তারাও না যায় বাদ
                          বকধার্মিক সুযোগ বুঝে
                              বোনে মনের ফাঁদ ।।

                      পদবীতে চট্টভট্ট সেনগুপ্ত চাকী
                               আসলেতে নকলেতে
                                 দিচ্ছে চোখে ফাঁকী ।।

প্রেমিকযুগল অষ্টপ্রহর
কাটায় সেলফি-চ‍্যাটে
অলস প্রেমিক আলসেমিতে
ভাসে ফেবুর দেশে ।।

ফেবুর দেশে রাতের শেষে
স্বপ্নগুলো মাথায়
লিখছে প্রেমিক হরেক কথা
মন ভাসায় ফেবুর পাতায়
           এসো
এমনি করে ফেবুর দেশে যাই ভেসে যাই সবাই ।।

           ---------এ এফ এম বাইতুল্লা
                              ১৩/০৮/২০১৮

Saturday, August 11, 2018

২০ : জানিস মিথ‍্যা বলেনা কবি

স্বপনে - শয়নে
আজো মনে পড়ে তোরে
আজো ফিরে যাই তাই
ক্লাসরুম আর কলেজ বারান্দায় ।।

আজো ঘুম-ভাঙা পাখি
আলো আঁধারিতে দেখি
তোর মুগ্ধ প্রতিচ্ছবি !
জানিস মিথ‍্যা বলেনা কবি ।।

আজো স্বপ্নে-রাতে
তোকে মনে করে করে
স্বপ্নে পাখি ,   আঁকে তোর ছবি !
জানিস মিথ‍্যা বলেনা কবি ।।

আজো মনে পড়ে তোকে
সেই কলেজের ফ‍্যাংশনে
কবি আঁকে সেদিনের ছবি
জানিস মিথ‍্যা বলেনা কবি ।।

ফেলে আসা দিন ,স্বপ্নে রঙিন
কবি কবিতায় খোঁজে ,তোরে প্রতিদিন  !
অ্যকোরিয়াম আর  গোল্ডফিসে ছিল তোর হবি
জানিস মিথ‍্যা বলেনা কবি ।।

আজো অনুভব করি
এক সুতলিতে আছে  বাঁধা
ঐ মন তোরি
জানিস মিথ‍্যা বলেনা কবি ।।

অলিগলি শহরে-পথে
আজো মনে পড়ে তোরে
সেই এলোমেলো চুলে
আমারে কি গেছিস ভুলে  !?

যত কথা মনে-গোপনে
ঐ  পাওয়া না পাওয়ার  তুলির টানে
একদিন ঠিক তুই পৌঁছে যাবি
জানিস মিথ‍্যা বলেনা কবি  ।।

     
                  ----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                        ১২/০৮/২০১৮

Friday, August 10, 2018

১৯ :: স্মৃতিচারণ ::

আকাশ বাতাস মর্ত‍্য পাতাল
মন -দরিয়ার অতল তলায়
না বলা কথায় ,গানের লতায়
খুঁজে ফিরি তোমায় সদায়  ।।

                                       হৃদয়-ডালায় সাজানো সাজি
                                          বলার যা তাই বলছি আজি
                                          ফেবু-টুইট  ,ইনস্ট্রাআ্যপে
                                          খুঁজি তারে আপন মনে !!

ম‍্যাসেজগুলো হাওয়ায় ভেসে
যায় মন-দরিয়ার দেশে
যেমন ক‌ইর‍্যা পানসি নৌকা
ভাসে নিরুদ্দেশে ।।

                                                লেটারবক্সে পুরান চিঠি
                                                 হাসে মিটিমিটি
                                                 অবহেলায় ইঁদুরে কাটে
                                                ডিম পাড়ে টিকটিকি ।।

হয়তো তুমি হাসছো মিঠে
নখ কাটো  তাই মুখ সিঁটিয়ে
আমি তখন অবাক নয়ন
পুরান স্মৃতি করছি চয়ন
            স্বপ্ন-শয়নে ।।

              -------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                     ১০/০৮/২০১৮

Wednesday, August 8, 2018

১৮ . ধরণী মায়ের প্রতি

আমি দেখি যা               তোমরাও দেখো না

                যদি দেখো মোর চোখে ,

দেখবে অবাক                পৃথিবী তোমায়

                 ডাকে সাদর নিমন্ত্রণে ।।

আমি দেখি যা                 তোমরাও দেখো না

                  যদি দেখো মোর চোখে

দেখবে অবাক                    পৃথিবী তোমায়

                  নিয়েছে আপন করে।।

ধরণীর মায়ের বুকে               আছো যারা সুখে

  ধরণী মায়ের প্রশস্তি গান গাইছো মুখে মুখে ।

আসল কাজে ফাঁকি           কাটছো সবুজ সাথী

মায়ের বুকে অস্ত্র হানার র‌ইলো কি আর বাকী !!

হিমালয়ের বরফ গলে          যেন মায়ের চোখের জল

             উষ্ণায়নের বিষবাস্পে ভরাও ভূমিতল ।

দালানবাড়ি নিলে  কাড়ি        গড়তে শহর-ইমারত

       মায়ের বুকে পাথর রেখে  চালাও যন্ত্রদানব ।।

সাগর জলে অতল-তলে                  তোমার আগমন

    যেথায় মৎস‍্যপ্রাণীর হাঙর-তিমির অবাদ বিচরণ ।

আকাশপথে হাওয়াই রথে            তোমার গতিবিধি

             শূন‍্যপথে খেচরবুকে  বাজাও শঙ্কাধ্বনি !!

সাগরকূলে  দিচ্ছো ঢেলে                তরলজাত বিষ

       এমনি করে ধরণীমাকে  করবে কি নির্বিষ !?

মাতৃবক্ষ গভীর ক্ষতে           করছো ফালাফালা

    জীবন নামে জলের ঘরে দিচ্ছো এঁটে তালা ।।

শস‍্যভক্ত শুষছে রক্ত             চলছে ফসলবোনা

    অন্তরীক্ষে  মাতৃদুগ্ধে  মিঠাপানি আজ লোনা ।

মাতৃবক্ষে ভীষণ জ্বালা             চলছে  সারাক্ষণ

        সুনামীতে ভূ-কম্পন তারি   প্রতিফলন ।।

অস্ত্রশস্ত্র অর্থ আর                সাম্রাজ‍্যবাদী নীতি

                   হানে প্রকৃতির স্বাভাবিকতার রীতি ।

সময়-স্রোতে গড়ছে যত                   শহর-মরুভূমি

  অমৃতের নামে বিষপেয়ালায় দিচ্ছো ভরা-চুমি ।।

দ্বেষ-বিদ্বেষ, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব       ঝরায় মায়ের চোখের জল

            এমনি করে মৃত‍্যুমুখে চলছি মোরা শ্লথ ।

সবুজারণ‍্য হারিয়ে বন‍্য                আসছে লোকালয়ে

          যুক্তি-তর্কে সজ্ঞানেতে চলেছো মৃত‍্যুপানে  !!

মায়ের যত  যন্ত্রনা সব              লাঘব হবে তবে

    শ‍্যামল শোভায় শোভিত হবে, বসুন্ধরা যবে ।

সৃষ্টি বৃষ্টি মিষ্টি হবে            তোমার হাতেই সবে ।।

                  -------------এ এফ এম বাইতুল্লা

                                   ০৮/০৮/২০১৮

Tuesday, August 7, 2018

১৭ : :বর্ষাবালিকে ::


কালবোশেখে দিবাশেষে তোমার আর্বিভাব
কাজল-কালো নয়নমেলে পাড়ো কালের ডাক ,
পাক-পাখালি আকাশ পথে করে যে হাঁক-ডাক ।
ধরণীপরে ঘরণী মায়ে বাজায়ে যত শাঁক ,
আগমণীর আগমনে বাজাও তোমার ঢাঁক ।।

      এলে কি সেই তুমি  ! ভাসায়ে কত পথ  ??
      হয়ে এলাকেশী  ঝরো অবিরত ।
      আবার  অভিমানিনী ,রয়েছো কর্মে বিরত ।
       কখন‌ও দেখি  ,তোমাকেই আমি ঘটাতে সুনামি
       ভাঙিয়া কূল ,আকূল-ব‍্যাকূল শাখী  !!

আবার কখন‌ও মাতৃসম ঝরায়ে স্তন‍্যদুগ্ধ
পুষ্ট করেছো শুষ্ক মৃত্তিকা  - - - -
করেছো হৃদয় মন্ত্রমুগ্ধ !
আবার কখন‌ও বাদল নামে ,দাঁড়ায়েছ দ্বারে দ্বারে
জল-পিছল ছপাৎ ছপাৎ শব্দ  ওঠেছে মাঠে-ঘাটে ।।

আবার কখন‌ও উদাও তুমি ,ও উদাসী বামুন মেয়ে !
ছলাৎ ছলাৎ ফিরিছ গাঙে ,কাঁখেতে কলস রহে ।
আবার কখন‌ও ঘনঘটা মেঘে ,বজ্র-বিজলী চাহনি
যৌবন-জোয়ারে ভেসে ভাসাও  ধরণী ।।
আবার কখন‌ও শ‍্যামার রূপে ,সাজায়েছ শ‍্যামবনানী

আবার কখন‌ও কদমের শাখে, দেখি তোর হাতছানি
করবী,কেতকী,কামিনীর নামে সাজাও  ধরণী ।
আবার  শরতে বাতাসে ভাসায়ে পালের ডিঙা
              কাশফুলে তাই ফুলে ফুলে সাদা
          জাগে  মনে জাগে পূজার সে বাজনা  !!

              --------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                         ০৮/০৮/২০১৮

           
                                                                  

Monday, August 6, 2018

১৬* ও মন *

আমায় ফেলে যাওগো চলে
  অনেক দূরের পথ,
    মনমেঘে তোর প্রেম ঘনায়ে
      টানছো  প্রেমের রথ ।।

         আকাশ-পানে ঈশান কোণে
           উতলা-হাওয়া বয় ,
               ভালোবাসা  মানুষটিও
                   মন-মাঝারে রয় ।।

                       গাছে-গাছে ফলে আছে
                           অজস্র ফলন
                              মনের মাঝে জ্বলে  ধীরে
                                 ভালোবাসার দহন ।।

                                       মন-মোহনায় ঘুরে ঘুরে
                                          আরতো পারোনা !!
                                             মন-বাউলে কিবা চাহে
                                                তাও কি বোঝোনা !!

           স্বপ্নবেশে যাও গো ভেসে
              অলীক রাজার দেশে ,
        ভালোবাসা মানুষটিও
 আসবে তখন তোমায় ভালোবেসে ।।

----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                     ০৮/০৮/২০১৮

১৫. হৃদয়-কথন

                       নীল আকাশের দেশে
                       পানসি ডিঙারে মোর ভাসে ,
                        রাশি -রাশি মেঘপুঞ্জ তুলা
                         মনেতে দেয় দোলা ।।

নীল আকাশের দেশে
মন ফেরে নিরুদ্দেশে ,
যখনি তোমায় খুঁজি
তুমি কোথাও  হারাও  বুঝি !!

                                      মেঘের সনে চুপে
                                      মেঘনাদের ঐ রূপে
                                      শত সহস্র বাণ ছুঁড়ে
                                      বিদীর্ণ কর হৃদয় - - -
                                      ওহৃদয় হরা চূমে ।।

শত সহস্র যোজন দূরে
তপ্ত বালুচরে ,
কঠিন পাথরে মাথা কুটে
এ মন তোমায়  খুঁজে ফেরে !!

                                     নিবিড় নিশুতি রাতে
                                     নীরব রহি শুধুই চক্ষু মুদে
                                     মনের আকাশ -পটে
                                     লাল রক্ত-গোলাপ ফোটে ।।

                         ------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                              ০৭/০৮/২০১৮

১৩ .স্বপ্নে রাখী

রাতের শেষে ঘুমের দেশে
ওঠছে রাখী  দুলছে শাখী
বলল পাখি খুলতে আঁখি
জাগবে শহর পাড়া ।।

মায়ের বোলে কলের জলে
আলতো করে মুখটি ধুয়ে
টিফিন করি চা-বিস্কুটে ।।

আট-টা হলে পড়ার ঘরে
মা তখন রান্না  করে
বাবা কহে ব‍্যস্ত-স্বরে
কহেন রাখী ,  মা কি করে ??

প্রশ্ন করি মায়ের কাছে
বাবা যদি অফিস কর
তুমি কেন রান্নাঘরে !!

মায়ের চোখে জল করছে টলমল
কহে স্বপ্ন  আমার রাখী
পড়াশোনার প্রতি কোরোনা আর ফাঁকি ।।

                  -----------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                             ০৭/০৮/২০১৮

১২. বারোমাস‍্যা

বৃষ্টি পড়ে টাপুর-টুপুর উদাস গাঙে টান
মন মাতলে জোয়ার-বানে উথলে ওঠে প্রাণ  ,
আষাঢ়েতে বাদল নামে নূপুরেরি তান
শ্রাবণ মাসে অঝোর ধারায় ভরায় যে মন-প্রাণ ।।

ভাদ্রমাসের  আদ্র হাওয়া সম্পৃক্ত রয়
মেঘ-রোদ্দুর তপ্ত দুপুর সদা উদয় হয় ।
আশ্বিনেতে আশি পশলা বলেন গুণীজন
মনভোমরা মধুর তরে তোলে যে গুঞ্জন ।।

কার্তিকেতে শুভারম্ভ সোমের আর্বিভাব
শীতের বুড়ি আসছে বুঝি গুটি গুটি পায় ।
অঘ্রাণেতে সোনার মেয়ে , আসবে ঘরে-ঘর
সেই খুশিতেই চাষার বৌয়ের চোখের কোণে জল ।।

পৌষ-মাঘে রসপুঞ্জে রসের আড়ম্বর
পায়েস-পিঠা জাগায় মনে স্বাদের সাড়ম্বর ।
ফাগুনেতে হাওয়ার বদল ,মনের বদল হয়
মনের খাঁচায় বদ্ধ পাখি সেও তো কথা কয় ।।

বছর শেষে আসে দেশে বিদায় চৈত্র মাস
তখন দেখি সকল চাষী বপন করে পাট ।
বৈশাখেতে নূতন বছর ,আসছে নূতন দিন
সেই খুশিতেই  সকল প্রাণে জাগুকস্বপ্ন-রঙিন ।।

জৈষ্ঠ‍্য মাসের শ্রেষ্ট ফলন ,ফলের সেরা আম
সূর্যিমামা ভীষণ তেজে জ্বলে দিনমান ।
মনপাখিটায় জ্বলে-পুড়ে পায়না মনের দাম
তাইনা বুঝি মন-চাতকে জপে শ‍্যামের নাম ।।

                             -------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                                       ০৬/০৮/২০১৮

Sunday, August 5, 2018

১১ . তুলিরঙ

বুকের অন্তঃস্থল হতে
যদি ঝরে পড়ে
কয়েক ফোঁটা তুলিরঙ ,
             তবে
কি লিখি কি লিখি করে মন !
কি লিখি কি লিখি করে মন !!

সকাল ,দুপুর -সাঁঝে
হৃদয়-বীণায় বাজে
সাদা-পাতার মাঝে
কি লিখি কি লিখি করে মন !
কি লিখি কি লিখি করে মন !!

মনের আকাশ ছুঁয়ে ,স্মৃতির পাতা জুড়ে
দুই নয়নের মাঝে ত্রি-নয়ন যদি সে থাকে
পড়ে নিও তবে - - -  - -
দুই-লাইনের মাঝে না-বলা কথা যে রহে
কি লিখি কি লিখি করে মন !
কি লিখি কি লিখি করে মন !!

সেই সেদিনের স্মৃতি , সংসারে কি রীতি
ভাবি দিবা-নিশি
তাইতো বাঁধি গীতি
কি লিখি কি লিখি করে মন !
কি লিখি কি লিখি করে মন !

যদি কোনদিন
বাজে  তোর মনবীণ
শুধে দিব মোর যত ঋণ ।।

বুকের অন্তঃস্থল হতে
যদি ঝরে পড়ে
কয়েক ফোঁটা তুলিরঙ
             তবে
কি লিখি কি লিখি করে মন !
কি লিখি কি লিখি করে মন !!

               ------------এ এফ এম বাইতুল্লা

                                      ০৫/০৮/২০১৮

Saturday, August 4, 2018

১০ . এক টুকরো রুটি

রূপোলী  গাঁয়ের রূপবতী রূপসা তার  নাম
জানেনা সে মাতা-পিতার সঠিক নাম-ধাম ।
বনের পথে মনের রথে করছে ছুটোছুটি
জোটে না তার দিনের শেষে অন্ন রুটি রুজি । নিশিরাতে তারার দেশে খুঁজে সে হয়রান !
কোথায় পাবে পিতৃপরিচয়ের সম্মান  !?
পিতৃহারা মাতৃহারা  অভাগিনী সে
অনাহারে অর্থাহারে চলছে কোনক্রমে ।
এমনি করে  রাতের পরে দিন
শুকিয়ে লালা কন্ঠনালা হয় যে শরীর ক্ষীন ।
যুদ্ধরথে জয়ের পরে হয় যে খুশি মন
মনের জোরে ভর করে সে চলছে সারাক্ষণ ।
ভিটে-মাটি কিছুই তো নেই ,আছে শরীর ধন ।
শরীর বন্ধু ,শরীর শত্রু- শরীর নিয়েই তাড়া
মাথার উপর ছাদ পেতে সে গাড়ছে খুঁটিগাড়া , অসহায়ের মাথায় যেমন ঝোলে বলীর খাঁড়া !!
"পান আনতে চুন খসে তার" এমনি সময় ঘট
ভরা জীবন যৌবন তার উথলে ওঠে পট ।
শরীরভাঁজে জোয়ার ওঠে বলিরেখার তট
সর্বকামে হাত চলে  তার এমনি সে চটপট । কাজেরমেয়ে কাজ করে সে ঘরের পরে ঘর ভালোবেসেই কাজ করে আপন কিংবা  পর
তার ভালোবাসায় আপন করে নিল সকল ঘর ।
ও পাড়ার এক দুষ্টু ছেলে দুলু  তার নাম
পাড়াপড়শি  নাম শুনে করে রামনাম ।
বৈশাখেতে ঝড় জলেতে ভাঙছে আকাশখান
পেটের দায়ে রূপবতী ধাইছে  তখন কাজের প্রতি  টান । আকাশ ভাঙা বৃষ্টি ঝড়ে হলো যখন  স্নান ।
দুলু তখন সন্দিপনে ছিল যে কোনখান  !?
হিংস্র যেমন ঝাঁপায়ে পড়ে হরিণীর উপর
রূপবতী ঘায়েল তেমন এ কোন নরবানর  !?
সুহাসিনী গর্জে ওঠে আঁখিতে বহ্নিশিখা
চিৎকারেতে  কাঁপলো আকাশ মেঘবিদুৎ রেখা
গায়ের জোরে মরদ ছোটে এমন একঠেলায়
এমনি করেই সাঙ্গ করে দুলুর মনোলীলা ।
জলস্রোতে সময় চলে কাটলো কিছুদিন
মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করায় দুলু বাজায় মাদোলবীন ।
জনে জনে রটায়  রূপসা নষ্টা মেয়ে
কাজকাম তার বন্ধ হলো  অপপ্রচারে ।
ক্ষুধার জ্বালায় চক্ষু বুঁজে দাঁড়ায় শহর এঁদোগলি , লুটতরাজের লুট চলে যেথায় সারাদিন ।
পারেনা  সে হেরে যেতে, এমন পাহাড়ি মন ,
বেরিয়ে পড়ে নরক ছেড়ে একটু আলোর সন্ধান । দিনের পরে রাত ,রাতের পরে দিন
অন্নহীনে শরীর বড়ই ক্ষীন ।
আলুথালু কেশ , চক্ষু জ্বালাময়ী
পাগলী বেশে হাত পাতে  খাবার কিছু দিন। ভদ্রলোকের ভদ্র পোশাক রূপোলী দাঁতের হাসি
যাও যাও যাও  যাও হেথায় কিছু নাহি ।
প্রতিবাদী রক্তক্ষয়ী শরীর কহে নাওগো কেড়ে খাবার টুকরো রুটি নিল তুলে  ভুলে সকল জ্ঞান ।
চোরি কিয়া, চোরি -চোরি কিয়া ওঠলো সকল রব
ছুট ছুট ছুট ছুটছে নারী অর্ধনগ্না -শরীর  !
নগ্না তো নয় !অন্ধ ওদের  চোখ ।
চলন্ত গাড়ি নিল কাড়ি প্রাণ-পাখি তার , হায় !
পথে যখন ছড়িয়ে তার শরীর নাড়িভুঁড়ি ,
হাতেও তখন অক্ষত তার একটুকরো রুটি ।।

                 -------------এ এফ এম বাইতুল্লা
                                       ০৫/০৮/২০১৮

১১৬ : :। পূর্বাভাস

দেখি দূর দিগন্তে সূর্যাস্তে ! রক্তিম আভায় আকাশ বিহঙ্গেরা ফিরিছে বাসায় ডানা মেলি উদ্ধাকাশ । এ কার বিদায়ের পূর্বাভাস !? যাবার আগে তার বার্ত...