কালবোশেখে দিবাশেষে তোমার আর্বিভাব
কাজল-কালো নয়নমেলে পাড়ো কালের ডাক ,
পাক-পাখালি আকাশ পথে করে যে হাঁক-ডাক ।
ধরণীপরে ঘরণী মায়ে বাজায়ে যত শাঁক ,
আগমণীর আগমনে বাজাও তোমার ঢাঁক ।।
এলে কি সেই তুমি ! ভাসায়ে কত পথ ??
হয়ে এলাকেশী ঝরো অবিরত ।
আবার অভিমানিনী ,রয়েছো কর্মে বিরত ।
কখনও দেখি ,তোমাকেই আমি ঘটাতে সুনামি
ভাঙিয়া কূল ,আকূল-ব্যাকূল শাখী !!
আবার কখনও মাতৃসম ঝরায়ে স্তন্যদুগ্ধ
পুষ্ট করেছো শুষ্ক মৃত্তিকা - - - -
করেছো হৃদয় মন্ত্রমুগ্ধ !
আবার কখনও বাদল নামে ,দাঁড়ায়েছ দ্বারে দ্বারে
জল-পিছল ছপাৎ ছপাৎ শব্দ ওঠেছে মাঠে-ঘাটে ।।
আবার কখনও উদাও তুমি ,ও উদাসী বামুন মেয়ে !
ছলাৎ ছলাৎ ফিরিছ গাঙে ,কাঁখেতে কলস রহে ।
আবার কখনও ঘনঘটা মেঘে ,বজ্র-বিজলী চাহনি
যৌবন-জোয়ারে ভেসে ভাসাও ধরণী ।।
আবার কখনও শ্যামার রূপে ,সাজায়েছ শ্যামবনানী
আবার কখনও কদমের শাখে, দেখি তোর হাতছানি
করবী,কেতকী,কামিনীর নামে সাজাও ধরণী ।
আবার শরতে বাতাসে ভাসায়ে পালের ডিঙা
কাশফুলে তাই ফুলে ফুলে সাদা
জাগে মনে জাগে পূজার সে বাজনা !!
--------------এ এফ এম বাইতুল্লা
০৮/০৮/২০১৮
No comments:
Post a Comment